Evangelism বা ইভানজেলিক্যাল এর অর্থ হল, ভাগবত প্রচারক দর্শক। "Evangelism"- এর উপর ভিত্তি করে উনবিংশ শতকে ইংরেজদের আচরণে অনেকটাই গড়ে উঠেছিল। এই মতবাদের দুজন অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন চার্লস গ্রান্ট এবং স্যার জন শোর।
![]() |
এই মতবাদের যারা বিশ্বাসী তারা মনে করতেন, কতিপয়/সামান্য ইংরেজ কর্তৃক ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠা ভগবানের পূর্ব নির্দেশিত ঘটনা। এই ঘটনার মাধ্যমে তাদের এক পবিত্র কর্তব্য সম্প্রদানের প্রয়োজন। সেই কর্তব্য হলো, ভারতবর্ষের অগণিত জনগণকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা। এই মতবাদে বিশ্বাসী চার্লস গ্রান্ট 1792 খ্রিস্টাব্দে এক পুস্তিকাতে লিখেছেন যে, ভারতবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কারণ তাদের অজ্ঞতা এবং পুরোহিত শ্রেণীর অত্যাচার, কাজেই তাদের সুখ বিধানের জন্য অজ্ঞতা দূর করার প্রয়োজন এবং তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার প্রসার।
FAQ’s (ইভানজেলিক্যাল এর সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর)
১. ইভানজেলিস্ট কাদের বলা হয় ?
উত্তর- Evangelism বা ইভানজেলিক্যাল মতবাদের যারা বিশ্বাসী তাদেরকে ইভানজেলিস্ট বলা হয় ।
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।