আদি মধ্যযুগে বা পাল-সেন আমলে বাংলাদেশ মন্দির নির্মাণে এক বিশেষ শৈলী বা রীতিকে বলা হয় সর্বতো ভদ্র শিল্প রীতি।
বহু তল বিশিষ্ট মন্দির |
এই রীতি অনুযায়ী মন্দিরটি হতো চতুস্কোন। এবং চতুষ্কোণ নকশার সমগ্র ভূমির উপর একটি বিশাল চতুস্কোন স্তম্ভ সোজা উপরে উঠে যেত। স্তম্ভকে কোনক্রমে একাধিক তল থাকতো এবং তলের উপর থাকতো প্রদক্ষিণ পথ। গর্ভ গৃহ ও গর্ভ গৃহের সামনে মন্ডপ, পোড়ামাটির ইট ও কাদার গুহাগুলিতে ভিত্তি তৈরি হতো এই ধরনের মন্দির।
এই মন্দির স্থাপত্য রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল- সোমপুর বিহারের প্রাঙ্গনে অবস্থিত বিশালাকার মন্দিরটি। অধ্যাপক সরসীকুমার সরস্বতী মতে, পূর্ব ভারতে শিল্প কলার যে নতুন শৈল গড়ে উঠে তা পূর্ব ভারতের শিল্পনীতির নামেও পরিচিত।
পাল যুগে ধীমান ও বীতপাল ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী। তাদের চেষ্টায় বাংলাদেশে একটি শিল্প সংঘ গড়ে উঠেছিল। বাংলার শিলালিপি ও তাম্র শাসনে আরো কয়েকজন শিল্পীর উল্লেখ পাওয়া যায়, যথা- সূত্রধর, বিষ্ণু ভদ্র, শিল্পী কর্ণ ভদ্র।
👉তথ্যসূত্র 📖
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
👉সম্পর্কিত বিষয় 📖
- সুলতান মুহাম্মদ ঘুরি (আরো পড়ুন)।
- আলাউদ্দিন খলজির অর্থনৈতিক সংস্কার (আরো পড়ুন)
- দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে কি ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র বলা যায় (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)।
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন ।
. ......................