ভূমিকা:- 1757 সালে 23 শে জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে ক্লাইভের ব্রিটিশ বাহিনীর লড়াই হয়, তার ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে খ্যাত। এই যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে সিরাজ পরাজিত হয়।
বিট্রিশ সৈনিক |
এই যুদ্ধের ফলাফল বাংলার শাষন ব্যবস্থায় গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। কারণ-
👉সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা:- পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর তথা ভারতে কোম্পানির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। তাছাড়া পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর ইংরেজরা বাংলার সম্পদকে অস্তাগত করে এবং তা দিয়ে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলগুলিকে নিজেদের অধিকারে আনার চেষ্টা করে।
👉কোম্পানির রাজনীতি:- পলাশীর যুদ্ধের ফলে কোম্পানি বাংলা রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠে। নবাব পরিনত হয় পুতুলে।
👉রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতা:- কোম্পানির একের পর এক নবাবকে সিংহাসনে বসিয়ে আর্থিক ও বানিজ্যিক সুবিধা আদায় করতে চাইলে বাংলায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
👉ব্যবস্থা বানিজ্যের সর্বনাশ:- বানিজ্যিক দস্তকের সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে বাংলার ব্যবসা বাণিজ্য কোম্পানির একচেটিয়ে কতৃত্ব স্থাপন করে এবং দেশীয় ব্যবসা বাণিজ্যের সর্বনাশ ঘটে।
👉পলাশীর লুন্ঠন:- কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা বাংলাদেশে ব্যাপক লুন্ঠন শুরু করে এবং প্রচুর অর্থ ও সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার করতে থাকে। এই অথনৈতিক ঘটনাকে পলাশীর লুন্ঠন বা Polacy plunder বলে আক্ষাহিত করা হয়।
✍️মূল্যায়ন:-
পরিশেষে বলা যায় যে, পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর সিরাজউদ্দৌলা কোম্পানির হাতের পুতুলে পরিনত হয়। এই সুযোগ নিয়ে ইংরেজ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় একচেটিয়ে শোষন করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলার মুসলমানদের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখে। সকল শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বাংলার মুসলমানদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।