1946 সালে নাগার দিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। নাৎসি, জার্মানি ইতিমধ্যেই পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, হলান্ড, নরওয়ে ও ফ্রান্স এবং পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল।
1941 সালে সেই সময় আক্রমণ করল সোভিয়েত ইউনিয়ন। প্রাচ্য জাপান হঠাৎ আক্রমণ চালান, পাল হারবারে মার্কিন নৌবহরের উপর। জাপান দ্রুত অধিকার করে নিল ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইন্দোচীন, ম্যালেশিয়া ও ব্রহ্মদেশকে। এরপরে 1942 সালে মার্চে দখল করল রেঙ্গুন। যুদ্ধ চলে এলো ভারতের দরগোড়ায়, এই জটিল পরিস্থিতিতে যুদ্ধে ভারতীয়দের সাহায্য স্পষ্ট অপরিহার্য হয়ে পড়ল। ব্রিটিশ সরকার তখন সংবিধানিক কিছু সুবিধা দানের বিনিময়ে ভারতীয়দের সমর্থন লাভ করতে চাইল। সুতরাং, 1942 সালের মার্চে লেবার পার্টির সদস্য ও মন্ত্রী স্টাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে কিছু সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে ক্রিপস মিশন ভারতে আসেন।
ক্রিপসের প্রস্তাব গুলি কংগ্রেস বা মুসলিম লীগ কোন রাজনৈতিক দলকেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। পূন্য স্বাধীনতার বদলে দমীনিত্তন সোসাইটির সংস্থান থাকায় সংবিধান পরিষদে দেশীয় রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিরা সেইসব রাজ্যের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না হয়ে শাষকদের দ্বারা মনোনীত হওয়ার প্রস্তাব এবং সর্বোপরি ভারত ভাগের কথা থাকায় কংগ্রেস ক্রিপস মিশনকে বর্জন করে ছিল।
অন্যদিকে মুসলিম লীগ মনে করেছিলেন য, এই প্রস্তাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল বা প্রদেশগুলি ইচ্ছা করলে একটি স্বতন্ন যুক্তরাষ্ট্র গঠন করতে পারবে। তবেই সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট কোন নির্দেশ না থাকায় মুসলিম লীগ ক্রিপস প্রস্তাব সমূহ প্রত্যাখ্যান করেন।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।