সাম্রাজ্যবাদ:- একটি দেশ যখন নিজের স্বার্থে অন্য একটি দেশে স্বাধীনতা তথা সার্বভৌমত্ব কেরে নিয়ে সেই দেশ ও জনগণের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তখন তাকে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয়।
বিভিন্ন মত:- লেনিনের মতে, "সাম্রাজ্যবাদ হল পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর"। মরগেন থাও এর মতে, "নিজ এলাকায় বাইরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সম্প্রসারণ হল 'সাম্রাজ্যবাদ' "। ওয়েলস এর মতে, " সাম্রাজ্যবাদ হল এক সচেতন জাতীয় রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা"।
✍️ উদ্ভবের কারনগুলি
ঐতিহাসিকদের মতে সাম্রাজ্যবাদ উদ্ভবের অনেক কারন রয়েছে। কারণ গুলি হলো-
👉রাজনৈতিক:- কোনো দেশ অন্য কোনো দেশ অধিকারের উদ্দোগে গ্ৰহণ করলে সাম্রাজ্যবাদের সৃষ্টি হয়। আধুনিক যুগে সাম্রাজ্যবাদী দেশ গুলি দূর্বল দেশগুলিকে দখল করে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
👉অর্থনৈতিক:- যে দেশের অর্থনৈতিক ভীত যত মজবুত হবে, সেই দেশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে তত শক্তিশালী হবে। তাই সাম্রাজ্যবাদের উদ্ভবের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে কোনো মতেই অস্বীকার করা যায় না।
👉সামাজিক:- উনিশ শতকের প্রথম থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার দূত বৃদ্ধি পেরে থাকে। তাই তাদের বাসস্থানে ও কর্মসংস্থান ঘটানোর লক্ষ্যে শক্তিধর দেশগুলো দূর্বল দেশগুলিকে দখল করে সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করে।
👉ধর্মীয় সংকট:- ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকেরা চেয়েছিলেন খ্রিস্টান ধর্মকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে। এই কারণে ইউরোপে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি ধর্ম সমাজকেরা এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে বিভিন্ন দেশে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার চালান।
👉সাংস্কৃতিক:- সাম্রাজ্যবাদী শক্তিধর দেশগুলো দূর্বল দেশে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আন্তর্জাতিক শেষ সংষ্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের প্রসার বৃদ্ধি পায়।
👉জাতীয় গৌ:- পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে গৌরবের অন্যতম উপাদান পৃথিবীর অন্যতম আধিপত্য স্থাপন, নৌঘাঁটি, নৌবাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয় ইংল্যান্ড সাম্রাজ্যে সূর্য অস্তমিত হয়না - এই ধরনের আপ্তবাক্য জাতীয় গৌরব প্রকাশের উচ্ছেদ। এইভাবে বিশ্ব রাজনীতি নিজের অবস্থান জানাতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি তৎপর হয়ে ওঠে।
👉লেনিনের অভিমত:- রাশিয়ার কমিউনিস্ট নেতা লেনিন তাঁর সাম্রাজ্যবাদকে পুজিবাদের সব্বোর্চ স্তর রূপে ব্যাখ্যা করেছিল। তিনি দেশের শিল্পের চাহিদান্দরনের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ ও উৎপাদিত পণ্যের জন্য বাজারের সন্তানকে সাম্রাজ্যকদের উদ্ভবের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
✍️মূল্যায়ণ
পরিশেষে বলা যায় যে, ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সাম্রাজ্যবাদী আগ্ৰসনে ফলে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ গড়ে ওঠে । এই উপনিবেশ দখলকে কেন্দ্র করে তারা সাম্রাজ্যবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। এবং অবশেষে পর্যন্ত বিশ্বকে এক ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধের রূপ দেই।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।