ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য দয়ানন্দ তাঁর অনুগামীদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন। দয়ানন্দের ধর্ম আন্দোলনের তথা আর্য সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল "শুদ্ধি"। শুদ্ধি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ধর্মত্যাগ হিন্দু ও অহিন্দুদের হিন্দু ধর্ম গ্ৰহনের ব্যবস্থা করেন।
শুদ্ধি আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ধর্ম ও সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা। আর্য সমাজে ধর্মান্তরিত হিন্দুদের পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন; এই আন্দোলনের মাধ্যমে। এই শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে আর্য সম্প্রদায়রা অস্পৃশ্যদের ও উচ্চবর্নে স্থান দিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করে।
কিন্তু এই ধরনের কার্যকলাপ পাঞ্জাবের হিন্দু সমাজের গ্ৰহন করা বেশ অসুবিধা দেখা দেয়। এর ফলে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা শুদ্ধি কর্মসূচির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছার হন। কারণ হিন্দু ধর্মের ধর্মান্তর বা উচ্চবর্ণে উঠে আসার রীতির কোন স্থান ছিল না।
এক কথায় আর্য সমাজের এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের কাছে সফল হয়েছিল। কিন্তু উচ্চবর্ণের হিন্দুদের কাছে সফল হতে পারেনি।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।