জমির রাজস্ব ছাড়া শিবাজীর প্রতিবেশী অঞ্চল মুঘল অধিকৃত এবং বিজাপুরের কয়েকটি পরগনা থেকে 'চৌথ' ও 'সারদেশমুখী' নামে দুই প্রকার কর আদায় করতেন।
শিবাজী |
চৌথ - "চৌথ ছিল রাজস্বের এক চতুরাংশ" এবং সারদেশ মুখি - "সারদেশ মুখি ছিল রাজস্বের একদশাংশ"।
রানাডের মতে, অন্য কোন তৃতীয় শক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষার বিনিময়ে প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে এই কর আদায় করা হতো। কিন্তু ঐতিহাসিক যোদুনাথ সরকারের মতে, প্রতিবেশী অঞ্চলগুলিকে মারাঠা সেনার লুণ্ঠন ও অত্যাচার থেকেই রক্ষা পাওয়ার জন্য চৌথ দিতে হতো।
অপর কর সারদেশমুখী হিসাবে এই কর দাবি করতেন। অন্যান্য রাজ্য থেকে সারদেশমুখী আদায় করা হলেও সেই সকল রাজ্যের সার্বভৌম ক্ষমতা অক্ষুন্ন হতো না। অধ্যাপক যদুনাথ সরকার, "চৌথ" ও "সারদেশমুখী" উভয় করকেই এক রকমের নিস্কৃতি কর বলে মনে করেন। তার মতে এই দুই ধরনের কর যে অঞ্চল থেকে আদায় করা হতো সেই অঞ্চল মারাঠা আক্রমণ থেকে রেহায় পেত।
............ সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
📖তথ্যসূত্র
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
📖সম্পর্কিত বিষয়
- আলাউদ্দিন খলজির অর্থনৈতিক সংস্কার (আরো পড়ুন)।
- দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে কি ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র বলা যায় (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)।
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।
------------🙏---------------