ব্রাহ্মসমাজের এক ঈশ্বর বাদ, জাতিভেদ বিরোধিতা ও সমাজ সংস্কারে আদর্শ মহারাষ্ট্রের নেতাদের মনে প্রভাব বিস্তার করে। কেশব চন্দ্রের বোম্বাই ভ্রমণের সময় ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে এই প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ড. আত্মরাম পান্ডুরঙ্গ ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে 'প্রার্থনা সমাজ' স্থাপন করেন। ১৮৬৯ খ্রিস্টানদে রামকৃষ্ণ ভান্ডার কর ও মহাদেব গোবিন্দ রানাডে প্রার্থনা সমাজে যোগ দিলে সমাজের জনপ্রিয়তা বাড়ে।
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে প্রার্থনা সমাজ মন্দির Source - click here |
অধুনা কোন কোন গবেষণা বলেন যে, প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠায় ক্রম সমাজের প্রভাব অপেক্ষা মারাঠা সংস্কারদের ব্যক্তিগত উদ্ভব প্রধান ছিল। প্রার্থনা সমাজের মুখ্যপত্র 'সুবোধ' পত্রিকা ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতো। প্রার্থনা সমাজ নিরাকার পরম ব্রহ্মের উপাসনার কথা বলে। কিন্তু সমাজ সংস্কারের কাজ ছিল এই সমাজের আসল কর্তৃত্ব।
প্রার্থনা সমাজ ধর্ম মত প্রচারের জন্য কোন নতুন মতবাদ বা গ্রন্থ রচনা করেননি। একমাত্র এক ঈশ্বর বাদকেই প্রার্থনা সমাজ গ্রহণ করে। জাতিভেদ বিরোধিতা, বিধবা বিবাহপ্রচার, স্ত্রী শিক্ষা বিস্তার, পর্দা প্রথা লোপ, বাল্যবিবাহের প্রতিবাদ ছিল প্রার্থনা সমাজের আন্দোলনের প্রধান অঙ্গ। প্রার্থনা সমাজের সদস্যরা নিজেদের কোনো নতুন ধর্মের অনুরাগী বলে দাবি করতেন না। তারা ঈশ্বরের অবদার তত্ত্ব এবং জন্মন্তর বাদে ও পৌলিকতায় বিশ্বাস করতেন না। প্রার্থনা সমাজ আন্দোলনকে 'প্রতিবাদী সংস্কার পন্থী হিন্দু আন্দোলন' বলা চলে। কারণ এই সমাজে সদস্যরা নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করতেন।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।