মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ

দীর্ঘ সময়ের নিয়ম অনুযায়ী "যার উত্থান রয়েছে আবার তার পতনও রয়েছে" এই চক্রাকার থেকেই এই নিয়ম আবর্তিত। মুঘল সম্রাট বাবর হতে মোগল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হলে এই মুঘল সাম্রাজ্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৫০ বছরের মধ্যে। তবে মোগল সাম্রাজ্যের পতনের লক্ষণ গুলি স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয় ঔরঙ্গজেবের আমল থেকেই। 

মুঘল সাম্রাজ্যের বিশাল আয়তন অব্যাহত ছিল ততদিনে যতদিন মোঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট ঔরঙ্গজেব বেঁচে ছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত যোগ্যতায় গুরুত্বপূর্ণ মোগল সাম্রাজ্যের অব্যাহতের কারণ। কিন্তু ১৭০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বার্ধক্য ও অসুস্থতায় অষ্টআশি বছর বয়সে আহমদনগরে মোঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট ঔরঙ্গজেব মারা যান। ততঃপর সময় থেকে ঘনীভূত হতে শুরু হয় মুঘল সাম্রাজ্যের পতন। 

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ

                  মুঘল সাম্রাজ্যের মানচিত্র

Source- wikipedia (check here)


✍️মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ সমূহ

মোঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকে মুঘল সাম্রাজ্যে পতনের কারণগুলি দেখা দিতে শুরু করে তবে মোগল সাম্রাজ্যের উল্লেখযোগ্য কারণগুলি নিচে বিশ্লেষণ করা হলো ---


👉মোঘল স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র :- 

স্বৈরাতান্ত্রিক ছিল মোগল সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নীতি। সম্পূর্ণভাবে মোঘল সম্রাটদের ওপর নির্ভরশীল মোগল সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা।  যেমন - সামরিক শক্তি, ব্যক্তিগত চরিত্র, কর্মনিষ্ঠা এবং বুদ্ধির উপরে নির্ভরশীল ছিল মোঘল সাম্রাজ্যে। মোগল সাম্রাজ্যের বাসা বেধেছিল স্বৈরাচারী একনায়ক তন্ত্রের সকল ত্রুটি। জনসাধারণের স্থায়ী সমর্থন ও আনুগত্য ছিল না মোগল সাম্রাজ্যের উপর। হঠকারি, কুচক্রী, ব্যাক্তিহীনই ছিল মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী শাসকের অধিকাংশ, মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাটের ব্যক্তিগত চরিত্র, কর্ম দক্ষতার উপর প্রশাসনের সাফল্য, বুদ্ধি, অস্তিত্ব নির্ভর করত। মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পর মোগল সম্রাটরা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল মোঘল সাম্রাজ্যের আমলা ও অভিজাদের উপর এবং পরবর্তীতে স্বৈরতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলে মোগল সাম্রাজ্য। ফলস্বরূপ মোগল সাম্রাজ্য এমন এক দিকহীন নৌকার মতো দিভ্রান্ত হয়ে পড়ে উপযুক্ত ব্যক্তির অভাবে।


👉মুঘল সাম্রাজ্যের বিশালতা :- 

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের একটি অন্যতম কারণ ছিল। কারণটি হলো 'মোঘল সাম্রাজ্যের বিশালতা'। মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে বিশাল মোগল সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তৃতি ঘটে। তবে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে এই সাম্রাজ্যের বিশালতার সুযোগ নিয়ে দেখা দেয় মোঘল সাম্রাজ্যে প্রাদেশিক বিদ্রোহ। মোঘল সাম্রাজ্যের এই প্রাদেশিক বিদ্রোহ  রোধ করার পরবর্তীকালে মোগল সাম্রাজ্যের সম্রাটদের ক্ষমতা ছিল না। 



👉জায়গীর প্রথা :- 

মুঘল যুগে বিশেষ করে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সময় থেকে জায়গীরদারী ব্যবস্থার দুর্নীতি প্রবেশ করে। মোঘল সাম্রাজ্যের জায়গীরদারগণ সরকারি তহবিলের নির্দিষ্ট হাসিল জমা দিতেন না। মোঘল সাম্রাজ্যের দরিদ্র কৃষকদের ওপর তারা শোষণ ও নির্যাতন করতেন। ফলে মোঘল সাম্রাজ্যের কৃষির ফলন হ্রাস পায়। যা মোগল সাম্রাজ্যের অর্থনীতির পক্ষে ছিল একটি অশুভ লক্ষণ। মোঘল সাম্রাজ্যের নতুন সম্পদও সৃষ্টি হয়নি যেহেতু কৃষিকার্য অনুন্নত অবস্থায় ছিল। ফলস্বরূপ মোঘল সাম্রাজ্যে জায়গীরও সৃষ্টি হতে সক্ষম হয় পরবর্তীকালে মোঘল রাজ দরবারের দলাদলি শুরু হয় কারণ মোঘল সাম্রাজ্যে জায়গীর প্রকোপের সংখ্যা বেড়ে যায়।



👉মুঘল সাম্রাজ্যের বৈদেশিক আক্রমণ :- 

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ

১৭৩৯ সালে রাজা নাদির শাহের ভারত আক্রমণের ঘটনা মোগল সাম্রাজ্যের অর্থনীতিকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। তিনি এদের থেকে ময়ূর সিংহাসন, কোহিনুর মহিষন কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করে পারস্যের ভূমিতে নিয়ে যান। পারস্যের ভূমিতে এই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আফগান নেতা আহমদ শাহ আবদালি ভারত আক্রমণ করেন।



👉মুঘল দরবারের রাজনৈতিক অবস্থা :- 

১৭০৭ সালে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকেই মোগল দরবারে ইরানি তুরানি ও হিন্দুস্থানী অভিজাতদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। পরবর্তী শাসকের মধ্যে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এমনকি এই তিনটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে ইরানি, তুরানি ও হিন্দুস্থানী মোগল সাম্রাজ্যের রাজ দরবারের অভিযাত্রা। এই গোষ্ঠী লক্ষ্য ছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে নিয়ন্ত্রণ করে তাঁর প্রশাসনে কর্তৃপ্ত ও জায়গীর লক্ষ্য করা। মোঘল প্রশাসন ক্ষমতাচ্যুত হয় যখন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী দুর্বল মোঘল শাসকদের আমলে অভিজাদের গোষ্ঠী দন্দ তীব্রতর হয়। 



👉সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি :- 

দাক্ষিণাত্য মারাঠা শক্তি ও অন্যান্য মুসলিম রাজ্যগুলিকে দমন করতে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব জীবনের শেষ ২৫টি বছর দাক্ষিণাত্য অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাতে কোন লাভবান হয়নি বরং এই নীতির ফলে ব্যয় হয় প্রভুত অর্থ এবং মোগল সম্রাটের মূল্যবান সময়গুলিও নষ্ট হয়। এই সুযোগ নিয়ে উত্তর ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক শক্তি গুলি বিদ্রোহ ঘোষণা করে। 



👉মুঘল সাম্রাজ্যের ধর্মান্ধতা :- 

সুফি সম্প্রদায়ের মুসলমান ছিলেন মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব।  অমুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষোভের সম্মুখীন যখন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে গিয়েছিলেন। তারপর মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব জিজিয়া করের আরোপ হিন্দুদের ওপর চাপিয়ে দেন। বহু হিন্দুদের জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। শুধু তাই নয়, এমন কি বহু হিন্দুমন্দিরও ধ্বংস করেন। শিয়া পন্থী মুসলমানরাও মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কুনজরে পড়েছিল। মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব শিখ গুরু তেভাগাদুরকে হত্যা করে শিখজাতির বিরাট ভাজন হন। 



👉মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের ভ্রান্ত নীতি :- 

মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এক ভ্রান্ত নীতির মধ্যে পড়েছিল। ঐতিহাসিক জনৈক মনে করে, মুঘল সাম্রাজ্যের অবক্ষয় ও পতন তরান্বিত করেছিল মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের এই ভ্রান্ত নীতি। মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালের সময় মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব রাজত্বের অধিক অংশের সময় যুদ্ধে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় এবং দেশের উদ্যম, শক্তি এবং প্রচুর অর্থের ক্ষয়ক্ষতি করেন। শুধু তাই নয় মোগল সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে তোলে রাজপুতদের মিত্রতা নষ্ট করে। পরবর্তীতে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য যুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লিপ্ত হয়ে নিজের এবং মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ডেকে এনেছিল। সর্বোপরি বলা যায় যে, মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের  মধ্যে এই নানা ধর্মেরদেশ ভারতবর্ষকে শাসন পরিচালনার জন্য উদারতার প্রয়োজন ছিল যা ঔরঙ্গজেবের মধ্যে অভাব ছিল। তিনি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে মোগলের প্রতি বিলুপ করে তোলেন, সংকীর্ণ ধর্মনীতিকে সমর্থন করে। 



👉মুঘল কৃষকদের অসন্তোষ এবং বিদ্রোহ :- 

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ

কৃষক অসন্তোষ ও কৃষক বিদ্রোহ মোগল সাম্রাজ্যের পতনের এক প্রধান কারণ ছিল। কৃষকগণ সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছিল। মোঘল দরিদ্র কৃষকদের অবস্থা প্রচুর অসহায়, করুন ও শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। দরিদ্র কৃষকদের অবস্থা প্রচুর পরিমাণে করের বোঝা চাপিয়ে দরিদ্র কৃষকদের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। দরিদ্র কৃষকদের অবস্থা  বালির পাঁচার মতো হয়ে পড়েছিল অভিজাদের জায়গীর হস্তান্তরের ফলে। দরিদ্র কৃষকেরা খাজনা বা রাজস্ব দিতে না পেরে তাদের নিজের জমি বিক্রি করতে হত এবং জমিদার ও মহাজনদের জমিতে চাষ করে দরিদ্র কৃষকদের জীবনযাপন বা সংসার চালাতে হতো। এমন অত্যাচার হওয়ায় দরিদ্র কৃষকেরা চাষবাস বন্ধ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হত। ফলস্বরূপ, দরিদ্র কৃষকেরা সহ্য সীমা পার হওয়ায় দুষ্যতে পরিণত হতে বাধ্য হয়। জাঠ, শিখ, স্যামিদের বিদ্রোহ ঘটেছিল সেই বিদ্রোহ থেকে তারা মদত দিয়েছিল। পরোক্ষভাবে বলা যায় যে, মোঘল সাম্রাজ্যের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল দরিদ্র কৃষকদের উপর এই করা অত্যাচার।



👉মুঘল অভিজাতদের দলাদলি :- 

অভিজাত শ্রেণীরাও অধঃপতন ঘটে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালের উত্তরাধিকারী গনের অধঃতনের সাথে সাথেই। মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম স্তম্ভ প্রথম দিক থেকেই মোঘল অভিজাতদের সম্প্রদায় ছিল। পরবর্তীকালে দলাদলি ও ক্ষমতার লালসা অভিজাত নিজেদের মধ্যে ভীষণভাবে বেড়ে যায়। গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মোঘল সাম্রাজ্যের স্বার্থ জ্বলাজ্বলি দেয় কিছু রাজ্যে যেমন - তুরানি, ইরানি, হিন্দুস্থানী প্রভৃতি। ফলস্বরূপ, মোগল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে মোগল সাম্রাজ্যের বৃদ্ধি কার্যকলাপের জন্য। তাই বিপিনচন্দ্র বলেছেন,  নিজ স্বার্থে ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেই প্রাধান্য দিয়েছিল এবং মোঘল সাম্রাজ্যের ঐক্যকে ক্ষুন্ন করে মোঘল অভিজাতরা রাষ্ট্রের প্রতি তাদের আনুগত্যের ফল দিয়েছিল। 



👉মুঘল সাম্রাজ্যের সামরিক দুর্বলতা :-  

সামরিক দুর্বলতা ও বিশেষভাবে দায়ী হয়ে পড়েছিল মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য। মোগল সাম্রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন দুর্বলতা দেখা দিতে শুরু করে মুঘল সামরিক জাতি হওয়া সত্ত্বেও। মুঘলরা সামরিক দিক থেকে সক্রিয় ছিল যতদিন ভারতবর্ষে যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন যুদ্ধের প্রয়োজন মৃত্যুর শুরু করে তখন মোগল সৈন্যরা অলস হয়ে পড়তে শুরু করেছিল। ফলস্বরূপ নিষ্ক্রিয় ও দুর্বল হয়ে পড়ে মোগল সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনী। 



👉মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক বিপর্যয় :- 

অর্থনৈতিক শক্তিশালী রূপে মোগল সাম্রাজ্যের কাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য কোনো ধরনের চেষ্টা করা হয়নি। বিভিন্ন অঞ্চল গুলির বিভিন্ন বিদ্রোহ গুলিকে দমন করতে গিয়ে ও মোঘল সাম্রাজ্যের বিশাল সেনাবাহিনী জোট গঠন করে তাদের খরচ পানি করা অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়, মোঘল সেনাবাহিনীর পুষ্টিতে গিয়ে মোগল সাম্রাজে রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। ঐতিহাসিক জনৈক্য তারা চাঁদের মতে, একটি নতুন সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিল ও বিদেশী শাসন প্রতিষ্ঠা মোঘল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়কে ত্বরান্বিত স্থাপন করেছিল। ফলস্বরূপ মোঘল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক এই করুন অবস্থা এমন গুরুতর হয়ে পড়েছিল যে, মোঘল রাজকর্মচারী ও মোঘল সৈন্যদের বেতন দিতে সমস্যা সম্মুখীন হয় তাছাড়া বলা হয় যে সৈন্যদের বেতন দিতে অসম্ভবের সম্মুখীন হতে হয় মোঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে। ঐতিহাসিক মরলে এন্ড মন্তব্য করেছেন, - "মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বিশাল মোঘল সাম্রাজ্যের পতন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিতে শুরু করে"। 



✍️মূল্যায়ন :- 

পরিশেষে বিশ্লেষণ করা যায় যে, মধ্যযুগের ইতিহাসে মোগল সাম্রাজ্য শুধু ভারত বর্ষের নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসে গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়। মোঘল সম্রাট বাবর (১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে) মোগল রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং মোঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে) শেষ মোগল সম্রাটের মধ্যবর্তী প্রায়ই ৩১৭ বছরের ১৭ জন মোঘল সম্রাটের রাজত্বকাল বিশ্লেষণময় রাজনীতির উজ্জ্বল এবং গৌরবময় সমাহার। তবে পরবর্তীতে মোগল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ অস্তিত্ব এতোটুকু বিলুপ্তি ঘটে যখন ইংরেজ ব্রিটিশ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসনে পাঠায় রেঙ্গুন দীপ। তবে প্রমুখ বিপিনচন্দ্র মন্তব্য করেছেন যে, "মোগল সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ক্রমিক অবক্ষয়"।

............. সমাপ্তি...........

✍️লেখিকা পরিচিতি

Muntaha Yasmin
নাম- Muntaha Yasmin
ইউনিভার্সিটি - University of gour banga


📖তথ্যসূত্র

  1. Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
  2. Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".

    📖সম্পর্কিত বিষয়

    সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।

           ------------🙏---------------


    নবীনতর পূর্বতন
    👉 আমাদের WhatsApp Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
        
      
      👉 আমাদের WhatsApp Channel- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
    
        👉 আমাদের Facebook Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
      
      
        👉 আমাদের Facebook Page-ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
    
        👉আমাদের YouTube চ্যানেল - সাবস্ক্রাইব করুন 👍 
    
    
    
    
        
      
    
      
    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য

    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য


     


     




    
    

    👉নীচের ভিডিওটি ক্লিক করে জেনে নিন আমাদের ওয়েবসাইটের ইতিহাস এবং বিভিন্ন চাকুরী সম্পর্কিত পরিসেবাগুলি 📽️

    
    
    

    👉 জেনে আপনি আমাদের প্রয়োজনীয় পরিসেবা 📖

    👉ক্লিক করুন 🌐