পাঞ্জাব সহ উত্তর ভারতে ধর্ম ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল 'আর্য সমাজ'। আর্য সমাজ আন্দোলনের প্রবর্তক ও প্রাণপুরুষ ছিলেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (1824-1883 সালে)। গুজরাটের এক গোরা ব্রাহ্মণ পরিবারে দয়ানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে তার অগাধ জ্ঞান ছিল। 21 বছর বয়সে দয়ানন্দ গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাস নেন।
আর্য সমাজের পতাকা এবং প্রতিক Source - click here |
মথুরাই স্বামী বিরাজ নন্দে কাছেই দীক্ষা নেওয়ার পর তিনি বৈদিক হিন্দু ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। কলকাতায় এসে ব্রাহ্ম মতবাদের সাথে ও তিনি পরিচিতি হন। ইংরেজি বা পাশ্চাত্য শিক্ষার সঙ্গে তার কোন পরিচয় ছিল না এবং সেখানেই রামমোহন বা রানাডের সাথে দয়ানন্দের মৌলিক পার্থক্য। অবশ্যই পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করলেও দয়ানন্দের চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যথেষ্ট প্রগতিশীল।
দয়া নন্দ সরস্বতী রাজকোটে 'আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন (1875 সালে)। পরে বোম্বাইতে এর প্রধান কেন্দ্র স্থাপিত হয়। মূলগতভাবে ব্রাহ্মসমাজ বা প্রার্থনা সমাজের সাথে আর্য সমাজে প্রভেদ ছিল।
ব্রাহ্মসমাজ বা প্রার্থনার সমাজ পাশ্চাত্য জ্ঞান, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ নির্ভর সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রতি ছিল। কিন্তু আর্য সমাজের মূল ভিত্তি ছিল ভারতের অতীত ঐতিহ্য। তার ধ্যান ধারণার উৎস ছিল বেদ। তার লক্ষ্য ছিল বৈদিক সমাজের পূনঃ প্রতিষ্ঠা। তার মতে, বেদ, অভ্রান্ত, স্বয়ং সম্পন্ন এবং সকল জ্ঞানের আধার বৈদিক ধর্মের মতে, বৈদিক সমাজকেও তিনি আদর্শ ব্যবস্থা বলে মনে করতেন।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।