মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুঘল সম্রাট বাবর এর মৃত্যুর পরে মুঘল সম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুন মুঘল সম্রাট হিসেবে ১৫৩৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির শাসন করতে দিল্লি সিংহাসনে বসেন। কিন্তু তিনি শুরুতেই আফগানদের বিরোধিতা সম্মুখীন হন। আফগান নেতা শেরশাহের মৃত্যুর পর তিনি সুস্থভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করতে থাকেন যার ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত দৃঢ় হয়।
মুঘল সাম্রাজ্যের মানচিত্র, Source- (check here |
✍️হুমায়ুন কর্তৃক মুঘল সাম্রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা :-
👉কামরান কর্তৃক বিদ্রোহ :- ইতিমধ্যে পাঞ্জাব দখল করে নেন হুমায়ুনের ভাই কামরান বিদ্রোহ করে।
👉শের খানের নিকট পরাজয় :- বিহারের আফগান নেতা শের খান এবং গুজরাটের শাসকবাহাদুর শাহ মুঘল কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেন। প্রাথমিকভাবে পূর্ব ভারতের তিনি শের খানের নিকট পরাস্ত হন যদিও গুজরাট ও মালব দখল করেন।
👉চৌসার যুদ্ধ :- বিহারের চৌসা নামক স্থানে শের খান ও হুমায়ুনের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল বলে এই যুদ্ধ চৌসার যুদ্ধ নামে বিখ্যাত। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধটি হয়েছিল। এই চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হন।
👉কনৌজের যুদ্ধ :- শের খানের নিকট পরাজয় হয়ে হুমায়ুন পরাজয় স্বীকার করেননি। আবার ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে বিল গ্রামের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হুমায়ুন পারস্যে পালিয়ে যান।
👉মুঘল আধিপত্য পুণঃপ্রতিষ্ঠা :- শেরশাহের মৃত্যুর পর ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির আফগানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধে যায়। ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত আক্রমণ করেন দিল্লি ও আফগানের যুদ্ধে সুযোগে রাজ্যচ্যুত হুমায়ুন সেনাবাহিনী সুসজ্জিত করে। মুঘল সম্রাট হুমায়ুন, লাহোর, দিল্লি ও আগ্রা প্রভৃতি অঞ্চলের উদ্ধার করেন এবং ভারতে মোগলের শক্তি পূণঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। যদিও মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বেশিদিন বেঁচে ছিলেন না। মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু হয়। তারপর তার নাবালক পুত্র আকবর বৈরাম খা অভিভাবকত্বে দিল্লির সিংহাসনে বসেন।
............ সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
📖তথ্যসূত্র
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
📖সম্পর্কিত বিষয়
- আলাউদ্দিন খলজির অর্থনৈতিক সংস্কার (আরো পড়ুন)।
- দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে কি ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র বলা যায় (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।
------------🙏---------------