মুঘল ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা

মুঘল সম্রাট আকবর ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার ভিত্তি মূলত স্থাপন করেন। এই ক্ষেত্রে প্রধানত শেরশাহের কৃত ব্যবস্থার দ্বারা চালিত হয়েছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। তিন ধরনের ফসলের দর নির্ধারণ করেছিলেন শের শাহ এবং মুঘল রাজত্বে লাহোর থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ভূখণ্ডে মোটামুটি ভাবে একেই জাবত ব্যবস্থা বলে প্রচলিত ছিল। রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া উত্তর ভারতে এলাকার বাইরে ছিল ভিন্নতর। যদিও অর্ধ ভাগ দাবি ছিল তবুও কাশ্মীরে উৎপাদনের দুই তৃতীয়াংশ ভাগ আদায় করা হতো এবং সিন্ধুতে এক-তৃতীয়াংশ শস্য বিভাজনের মধ্য দিয়ে আদায় করা হতো। 

মুঘল ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা



👉ইরফান হাবিবের মন্তব্য

মহজর-ই-শাহজাহানী ১৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইরফান হাবিবের রচিত উদ্ধৃতি দিয়ে দেখেছিলেন যে, বাস্তবে সংগ্রহ করা হতো সিন্ধুতে অর্ধেক ভাগ। এক সপ্তমাংশ থেকে এক অষ্টমাংশ ভাগ মরুভূমি রাজস্ব আজমির উৎপাদনের রাজস্ব হিসেবে আদায় করা হতো। কিন্তু তবে বলা চলে না যে রাজস্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতো।




👉মুঘল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকাল 

দিল্লির সুবায়, তুলো, জব, দানাশস্য এবং সরিষার ক্ষেত্রে জমি জরিপের মাধ্যমে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে নির্ধারিত দরে রাজস্ব আদাই করা হতো। কিন্তু এক তৃতীয়াংশ ভাগ গমের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে উৎপাদনের রাজস্ব হিসেবে নেওয়া হতো। শস্য বিভাজন প্রক্রিয়ায় সরিষার উৎপাদনে এক তৃতীয়াংশ ভাগ আদায় করা হতো খারিফ ফসলের ক্ষেত্রে।কিছু খারিফ ফসল উদা হল ধান,  ডাল, সর্ষে ইত্যাদি। 




👉মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকাল 

কৃষকদের কাছে থেকে উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ ভাগ  অর্ধ ভাগ বা দুই চতুর্থাংশ ফসল অনুসারে রাজস্ব বাবদের মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রসিক দাস কারোরীকে দেওয়া তার বহু আলোচিত ফরমান অনুসারে রাজস্ব বাবদের আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ রাজস্ব নেওয়ার প্রবণতা ছিল যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণে উৎপাদনের অর্ধভাগ। ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে সুবা আজমিরের অবস্থা থেকে জানা যায় মুনহতা নয়নশির প্রতিবেদন থেকে অর্ধ ভাগ উৎপাদনের আদায় উল্লেখিত ছিল। 




👉গুজরাটে দরিদ্র কৃষকের অবস্থা 

আরো ভয়ানক ছিল গুজরাটে দরিদ্র কৃষকদের অবস্থা। দাক্ষিণাতে রাজস্ব উৎপাদনের ক্ষেত্রে তিন চতুরাংশ ভাগ আদায় করা হতো যদিও জায়গীরদারদের অর্ধ ভাগের অধিক রাজস্ব সংগ্রহ করতে মানা করা হয়েছিল সপ্তদশ শতকে। অর্থাৎ কাগজে-কলমে অর্ধ ভাগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সব ক্ষেত্রেই। ডক্টর ইরফান হাবিব মন্তব্য করেন যে, যেহেতু শরীয়তে সর্বোচ্চ পরিমাণে রাজস্ব উৎপাদনের অর্ধ ভাগ ভূমি রাজস্ব হিসেবে আদায় করার কথা বলা হয়েছে সেই হেতু ওই পরিমাণের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা দেখা যায়।। 





👉মুঘল রাজত্বকালে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা

মুঘল রাজত্বকালে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ : (১) তসখিস তথা প্রথম তার নির্ধারণ এবং (২) তহশীল তথা দ্বিতীয় তার আদায়। যেসব রাজস্ব জমা নির্ধারণ করা হতো তাকে বলা হতো জমা এবং বাস্তবে যা আদায় করা হতো সেই রাজস্বকে বলা হত হাসিল। তবে পৃথক পৃথক হারে রাজস্ব ধার্য করা হতো শীতকাল তথা রবি শস্যকালে এবং শরৎকাল তথা খারিফ শস্যকালে। বিনিময়ে দরিদ্র কৃষক কবুলিয়ত এর মাধ্যমে নিজের দায়ী স্বীকার করত রাজস্ব নির্ধারণের পর সরকার যখন পাট্টা প্রদান করত। 




👉মুঘল রাজত্বকালে রাজস্ব আদায় পদ্ধতি 

মুঘল রাজত্বকালে রাজস্ব আদাই পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হতো উদাহরণস্বরূপ : গল্লাবক্স, জাবৎ এবং নশক। 




👉গল্লাবক্স রাজস্ব আদায় পদ্ধতি 

যেসব রাজস্ব উৎপাদিত শস্য বিভাজনের মাধ্যমে আদায় করা হতো তাকে বলা হয় গল্লা বক্স রাজস্ব আদায় পদ্ধতি। এই গল্লা বক্স পদ্ধতি আবার তিন প্রকার ছিল। যথা -  (১) নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করার দাদ অনুসারে ফসল ঝাড়াইয়ের সময়ে তার বিভাজন করা। (২) খেতবাট তথা বিভাজন করা খেতে নির্দিষ্ট অংশ। (৩) লাং বাটাই তথা ফসল কাটার পর তার পরিমাণ দেখে বিভাজন করা। গল্লাবক্স পদ্ধতি খুব কার্যকারী ছিল যেসব অঞ্চলে নিয়মিত বা পর্যাপ্ত ফসল ফলতো না সেই সব অঞ্চল গুলিতে। তবে আবুল ফজল মন্তব্য করেন যে, রাজস্ব আদায়ের জন্য এইভাবে খুব সর্তকতা অবলম্বন করতে হতো। 




👉গল্লা পদ্ধতির রাজস্ব আদায় নিয়ম 

এই বল্লা পদ্ধতিতে রাজস্ব আদায়ের নিয়ম হলো, সরকারি কর্মচারী গ্রাম পর্যবেক্ষণ করে তার ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করতে হতো আবার কোন কোন গ্রামে যতগুলি লাঙ্গল ছিল তাদের লাঙ্গল অনুসারে গড় তৈরি করত। সরকারি কর্মচারীর গ্রাম পর্যবেক্ষণ করে উত্তম ও অধম প্রকৃতির জমির তালিকা তৈরি করা হতো তারপর তাদের গড় তৈরি করতে হতো। আবার কোন কোন গ্রামে যতগুলি লাঙ্গল ছিল সেই লাঙ্গল সংখ্যার ভিত্তিতে সেই সব অঞ্চলে লাঙলে কি পরিমান ফসল উৎপাদন হতো তার অনুসারে বা তার পরিমাণ ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করা হতো। এই গল্লা পদ্ধতিগুলি আদৌ কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ছিল না। মোগল সাম্রাজ্যের এক কর্মচারী ব্যক্তির সততা ওদক্ষতার উপর এই গল্লা পদ্ধতি নির্ভর করত। জমি জরিপের পর কোন কোন ক্ষেত্রে জমি জরিপের মাধ্যমে প্রতিটি ফসলের জন্য পৃথক পৃথক রাজ্যের হারের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে নগদে রাজস্ব ধার্য করা হতো না অর্থাৎ এক্ষেত্রে ফসলে রাজস্ব ধার্য করা হতো। সরকার কৃষকের কাছ থেকে আদায় করতো ফসলের পরিমাণ নগদ মূল্যের পরিবর্তে। 




👉জাবৎ রাজস্ব আদাই পদ্ধতি 

যাবত ছিল মোহর আদর্শ ব্যবস্থার সবথেকে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। জাবৎ পদ্ধতি কথার অর্থ হলো জরিপ পদ্ধতি। ইরফান হাবিব এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন যে, "শাহাবুদ্দিন খান খালিস এলাকায় প্রতিবছর জাবৎ পদ্ধতির বাতিল করে নশক পদ্ধতি চালু করেছিলেন ১৫৬৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে"। যদিও প্রতিবছর জরিপ ইত্যাদি করে ভিন্ন ভিন্ন ফসলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্তরে রাজস্ব নির্ধারণে প্রক্রিয়া ১৫৫৩ থেকে ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে চালু হয়েছিল। অর্থাৎ বার্ষিক জরিপের ব্যবস্থা ছিল না নশক এলাকায় । টোডোরমলের এই প্রসঙ্গে একটি যুক্তি ছিল। "নশক এলাকায় জরিপের পর জমির পরিমাণ কমেছে প্রতি বছরই এই মন্তব্যটি ১৫৮২ থেকে ১৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে" মন্তব্য করেছেন টোডোরমল। অর্থাৎ যেখানে জমি জরিপ করা হয় সেই জায়গায় রাজস্ব নির্ধারণে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ধরতে হবে। অবশ্য পুনরায় বার্ষিক জরিপের ব্যবস্থা করা হতো যদি কৃষকগণ এই নশক ব্যবস্থাকে মানতে অস্বীকার করত তাহলে। দাক্ষিণাতে, কাশ্মীরে এবং বাংলায় যে নশক রাজস্ব ব্যবস্থা চালু ছিল তার আকৃতি ও ছিল ভিন্ন ভিন্ন। 




👉দাক্ষিণাতে নশক রাজস্ব পদ্ধতি 

দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে দাক্ষিণাতে নশক রাজস্ব পদ্ধতি রাজস্ব আদায় করার। সমসাময়িক প্রতিবেদক সাদিক খান মুঘল দাক্ষিণাত্যের গুজরাটের দুর্ভিক্ষে ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দে ইতিহাস লিখতে গিয়ে যা বর্ণনা করেছেন তা হলো, "গুজরাটের গ্রামে গ্রামে নশক রাজস্ব নির্ধারণ করত গ্রামের মোট লাঙলের সংখ্যার ভিত্তিতে"। গুজরাটের মতো বাংলায় ঠিক এমনটা ছিল যে জমি জরিপ বা উৎপাদনের পরিমাণ আদৌ দেখা হতো না। কিছুটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মত বাংলায় জমিদারদের সঙ্গে সরকারের রাজস্ব বন্দোবস্ত ছিল। বাংলাকে নশক এলাকাভুক্ত করা হয়েছিল কারণ বাংলায় বার্ষিক জমি জরিপ বা রাজস্বের নির্ধারণের ব্যবস্থা ছিল না। নশক রাজস্ব ব্যবস্থা পদ্ধতি বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন বিভিন্ন প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন থাকলেও একটি ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। কোন প্রদেশেই বার্ষিক নির্ধারণের সুযোগ ছিল না। তবে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে বিগত ১০ অথবা ১২ বছরের গড় আদায়ের ভিত্তিতে নশক এলাকায় রাজস্ব নির্ধারণ করা হতো। 




✍️মুঘল রাজস্ব ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন রাজস্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া  

আবুল ফজল মন্তব্য করেছেন যে, "পূর্বে মুঘল সম্রাট শেরশাহের সময়কালে হিন্দুস্থানে জমি জরিপ রাজস্ব ব্যবস্থা নির্ধারণের কোন ইতিহাস ছিল না। তবে মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে প্রথম প্রথম বছরগুলিতেই এলাহাবাদ মালব, অযোধ্যা, লাহোর, আগ্রাতে এবং দিল্লিতে জাবৎ রাজস্ব ব্যবস্থা চালু ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই জাবৎ ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়"। কিছু কিছু এলাকায় বার্ষিকী জমি জরিপের কাজ বন্ধ করার পর নশক প্রথা আদায় শুরু হয় খালিসা এলাকায় ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৬১ খ্রিস্টাব্দের সময়। পুনরায় জাবৎ রাজস্ব ব্যবস্থা চালু হয় ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে বিহার ছাড়া সমগ্র হিন্দুস্তানে। মুলতান এবং আজমিরে সুবাতে প্রসারিত হয়েছিল এই ব্যবস্থা। 




👉কাশ্মীরে নশক রাজস্ব পদ্ধতি 

নশক রাজস্ব পদ্ধতির কাশ্মীরে আবার অন্যভাবে দেখা যায়। 'নশক - ই - ঘন্নাবক্স' চালু ছিল কাশ্মীরের নশক পদ্ধতিতে আবু ফজলের ভাষায়। অর্থাৎ শস্য বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে নশক পদ্ধতিও বটে ছিল। কাশ্মীরি এই নশক রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বিভিন্ন বাজারদর হিসেবে ধার্য করা ছিল। এক্ষেত্রে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা ছিল না মুঘল সাম্রাজ্যের রাজ দরবারের যাকে দায়িত্ব দেওয়া হতো তার সততা ও কর্মের উপর নির্ভর করত। বিহারের অধিকাংশ অঞ্চলে ১৫৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জাবৎ বলবং হয়েছিল। কিন্তু চালু রাখা হয়েছিল না বার্ষিক জমি জরিপের কাজ। সম্ভবত নশক প্রথায় রাজস্ব আদাই করা হতো সেই এলাকাগুলিতে। শস্য বিভাজনের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায় করা হতো কানকু পদ্ধতিকে অনুসরণ করে। পোলাজ ও পৌরতি নয়, বানাজার তথা দীর্ঘকাল পতিত, নিকৃষ্টতর জমি যেমন চাচুর তথা যে জমি উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধির জন্য পতিত রাখা হতো তিন থেকে চার বছর থেকেও রাজস্ব আদায় করা হতো। পূর্বে যে সব অঞ্চলগুলিতে রাজস্ব আদায় শস্য বিভাজনের মাধ্যমে আদায় করা হতো সেই সব অঞ্চলগুলিতে দরিদ্র কৃষকরা জাবৎ পদ্ধতি বলবৎ করে চালানো হত। কোন অঞ্চলে জরিপের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হতো আবার পাঞ্জাবের কোন কোন অঞ্চলে শস্য বিভাজনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হতো এই প্রথা। দিল্লির সুবায় কোথাও কোথাও জমির অনুপাতে রাজস্ব আদাই করা হতো আবার কোথাও শস্য বিভাজনের ধারা রাজস্ব আদায় করা হতো।





✍️মূল্যায়ন 

পরিশেষে বলা যায় যে, কৃষকদের ভূমি রাজস্ব ছাড়া আরও বহু রকমের কর দিতে বাধ্য হত। ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ ও আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের দেওয়ার জন্য যে কর আদায় করা হতো তাকে জিহাত বলা হতো। সাধারণভাবে বলা হতো 'মাল - ও - জিহাত'। শেয়ার জিহাদ নামেও রাজস্ব আদায় করা হতো যে সব অতিরিক্ত গ্রামাঞ্চলে যা রাজস্ব আদায় করা হতো। এই সবগুলি ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা ছিল সরকারের দ্বারা নির্ধারিত। তবে আরো কিছু কর জমিদাররা সরকারকে না জানিয়ে আদায় করত তা কোনোভাবে সরকারকে জমা দিত না এগুলিকে বলা হত ফুরুয়াত বা সাধারণভাবে আবওয়াব। ইরফান হাবিব কিছু মন্তব্য করে উল্লেখ করেছেন যে, এই করগুলি সরকারিভাবে বেআইনি ছিল। উল্লেখযোগ্য কিছু বেআইনি কর গুলি হল - পাট্টাদারি তথা জমির নতুন পাট্টা প্রদানের সময় আদায়, সেলামি বা ভেট বা উপহার, তহশীলদারী, বালা দোস্তি তথা হরেক রকমের জরিমানা এবং জরিমানা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ঘুষ প্রদান করা এবং খরাজ - ই - সাদির - ও - ওয়ারিদ তথা গ্রামের সরকারি কর্মীদের উপস্থিতির জন্য আদায় করা কর প্রভৃতি।

............ সমাপ্তি...........


✍️লেখিকা পরিচিতি

Muntaha Yasmin
নাম- Muntaha Yasmin
ইউনিভার্সিটি - University of gour banga


📖তথ্যসূত্র

  1. Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
  2. Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".

    📖সম্পর্কিত বিষয়

    সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।

           ------------🙏---------------


    নবীনতর পূর্বতন
    👉 আমাদের WhatsApp Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
        
      
      👉 আমাদের WhatsApp Channel- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
    
        👉 আমাদের Facebook Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
      
      
        👉 আমাদের Facebook Page-ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
    
        👉আমাদের YouTube চ্যানেল - সাবস্ক্রাইব করুন 👍 
    
    
    
    
        
      
    
      
    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য

    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য


     


     




    
    

    👉নীচের ভিডিওটি ক্লিক করে জেনে নিন আমাদের ওয়েবসাইটের ইতিহাস এবং বিভিন্ন চাকুরী সম্পর্কিত পরিসেবাগুলি 📽️

    
    
    

    👉 জেনে আপনি আমাদের প্রয়োজনীয় পরিসেবা 📖

    👉ক্লিক করুন 🌐