মুঘল সম্রাট আকবরের একটি নতুন ভূমি রাজস্বের বন্দোবস্ত চালু করেন। দিওয়ান টোডরমল ভূমি রাজস্ব সংগ্রহের জন্য এই বন্দোবস্ত ব্যবস্থাটি চালু করেন। মুঘল সম্রাট আকবর জমিকে তিন ভাগে বিভক্ত করেন যথা - জাবতি বা দহশালা, গল্লাবক্স এবং নাক্স প্রথা।
মুঘল সাম্রাজ্যের মানচিত্র, Source- (check here) |
✍️মুঘল যুগে বিভিন্ন ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত
👉জাবতি প্রথা :- জমির উৎপাদন শক্তির ভিত্তিতে জাবতি প্রথা অনুসারে জমিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা - চাচর, পোলাজ, পরৌতি ও বানজার।
👉গল্লাবক্স :- জুমি জরিপ করা হতোনা গল্লাবকস প্রথা। এক তৃতীয়াংশ সরকারকে দিতে হতো কেবল ফসল উৎপন্নের জন্য।
👉নাসক প্রথা :- একটি অনুমান করে রাজস্ব নির্ধারিত হতো এই নাসক প্রথা অনুসারে।
👉অন্যান্য জমি :- মুঘল যুগে তিনটি ভাগে আরো জমি ভাগ ছিল। যথা খালসা জমি (সরকারি জমি), জায়গীর জমি (মনসবদারকে প্রদত্ত জমি), দাতব্য জমি (ইনামস্বরুপ প্রদত্ত জমি)।
✍️মূল্যায়ন
পরিশেষে বলা যায় যে, কৃষকদের ওপর শোষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায় মুঘল সম্রাট আকবরের পরবর্তী সময়ে মোগল ভূমি রাজস্বের পরিমাণ মুঘল সম্রাট শাহজাহান ও মোগল ঔরঙ্গজেবের আমলে বৃদ্ধি পায়। কৃষক নির্যাতনের চিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায় মানুচি ও বার্নিয়ে পর্যটক প্রমুখদের বিবরণ অনুযায়ী।
............ সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
📖তথ্যসূত্র
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
📖সম্পর্কিত বিষয়
- আলাউদ্দিন খলজির অর্থনৈতিক সংস্কার (আরো পড়ুন)।
- দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে কি ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র বলা যায় (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)।
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।
------------🙏---------------