১৯১০ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গোড়া উপন্যাস রচনা করেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে কটি উপন্যাসে লিখেছেন তার মধ্যে গোরা উপন্যাস ছিল সর্বপেশা উল্লেখযোগ্য।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
👉প্রেক্ষাপট
বঙ্গভঙ্গ প্রতিবাদের স্বদেশী আন্দোলন সময়ে যে জাতিভেদ দলা ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ সৃষ্টি করেছিলেন তার দূর করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উপন্যাস লিখেছিলেন।
👉গোরা উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের সময় এক ইউরোপীয় সেনা অফিসারের মৃত্যু হাওয়াই তার স্ত্রী অসহায় হয়ে এক ব্রহ্ম পরিবারের তার সন্তানকে জন্ম দিয়ে মারা যান ছেলেটিকে ব্রাহ্মণী পরিচয়ে বড় হয় এবং এক সময় সে জানতে পারে আয়ার ল্যান্ডের মানুষ।
👉গোরা উপন্যাসের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থে দিয়েছেন গোঁড়া আয়ারল্যান্ডের হয়ে ও সমগ্র বকলা হয়ে ও সমগ্র বাংলা ও বাঙালির জাতি হয়ে কিভাবে লড়াই করেছেন। তাহলে বাঙালীরা কেন নিজেদের পরিচয় ভুলে গিয়ে দেশের জন্য লড়াই করতে পারলেন না। এইভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা মানুষদের মধ্যে একতাবদ্ধ সৃষ্টি করেছিলেন।
👉জাতীয়তাবাদের বিকাশে গোরা উপন্যাসের গুরুত্ব ও প্রভাব
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বাধীনতা আন্দোলন একই সময়ের মধ্যে বাইরে চার অধ্যায়ে গোড়া উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলির মধ্যে জাতীয়তাবাদ বিকাশ গোড়ার অবদান ছিল সর্বাপেক্ষা বেশি।
✍️গোরা উপন্যাসের উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন দেশকে অনেক কিছু দান করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হল গোরা উপন্যাস।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
👉 তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।