আব্দুল আজিজ এর মতে আকবর মনসবদারি ব্যবস্থা প্রবর্তনের সময় তুর্কো আফগান যুগের প্রচলিত সাময়িক ব্যবস্থা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তুর্কো আফগান যুগে দশমিক ব্যবস্থা অনুযায়ী সামরিক বাহিনী সংগঠিত ছিল। এই বক্তব্য আংশিক সত্য। গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে তুর্কো আফগান যুগের দশমিক ব্যবস্থার সাথে মুঘল মনসবদারির ব্যবস্থার কয়েকটি মৌলিক পার্থক্য ধরা পড়ে।
মুঘল সাম্রাজ্যের মানচিত্র, Source- (check here |
✍️উদাহরণস্বরূপ বিশ্লেষণ করা হলো :--
(১) মনসবদারী প্রথায় ছোট বড় সমস্ত শ্রেণীর মনসবদারই সরাসরি সম্রাটের কাছে দায়বদ্ধ ছিল। ক্রমচ্চ স্তরে মনসবদারদের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিলনা অর্থাৎ একজন পাঁচ হাজারই মনসবদারের অধীনে পাঁচজন এক হাজারি মনসবদার থাকত না। প্রত্যেক মনসবদার তার দায়িত্বকর্তব্য ও অধিকার সম্পর্কে স্বতন্ত্রভাবে সম্রাটের সাথে যুক্ত থাকতো।
(২) মনসবদারদের নিম্নতম পদ থেকে উচ্চতম পদে উত্তীর্ণ হবার জন্য ক্রমচ্চস্বর অতিক্রম করা দরকার হতো না, সম্রাট তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন মনসবদারকে যেকোন সংখ্যক মনসব প্রদান করতে পারতেন।
(৩) মনসব ব্যবস্থা কেবল সামরিক কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রবর্তিত হয়নি। সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই মনসা প্রদান করা হতো। কাউকে উভয় ধরনের কাজ করতে হতো আবার কাউকে নির্দিষ্ট এক ধরনের কাজ করতে হতো। কে কি ধরনের কাজ করবে তা একান্ত সম্রাট ইচ্ছাধীন ছিল।
............ সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
📖তথ্যসূত্র
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India".
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
📖সম্পর্কিত বিষয়
- আলাউদ্দিন খলজির অর্থনৈতিক সংস্কার (আরো পড়ুন)।
- দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে কি ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র বলা যায় (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)।
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।
------------🙏---------------